চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০:৩০, ২৯ জুন ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন আগামী ৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। একইসঙ্গে পূর্ব ঘোষিত ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৫টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠনটির নেতারা।
রোববার (২৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে শাখা সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন।
শাখা অর্থ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা সম্পাদক মোহাম্মদ পারভেজ, দপ্তর সম্পাদক হাবিবুল্লাহ খালেদ, প্রচার সম্পাদক ইসহাক ভূঁঞা, সাহিত্য সম্পাদক সাইদ বিন হাবিব প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
আবাসন ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে লিখিত বক্তব্য শাখা সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা আগমন করেছে। কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয় হলো– এই শিক্ষার্থীদের আবাসন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোন নূন্যতম কোনো পদক্ষেপ ও পেরেশানি নেই। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ক্যাম্পাস হয়েও স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সবচেয়ে কম আবাসন সুবিধা পাচ্ছে চবি শিক্ষার্থীরা। প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীই আবাসন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
‘চবি সংস্কারে সাত দফা’ শিরোনামে বুকলেট প্রকাশ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারে ছাত্রশিবির সাত দফা ঘোষণা করেছে। দাবিগুলো হলো–
১. শতভাগ আবাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং আবাসন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক সকল শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা প্রদান করতে হবে।
২. সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে অনতিবিলম্বে সেশনজট নিরসন এবং শিক্ষার আধুনিকায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
৩. পর্যাপ্ত ও নিরাপদ যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. অনতিবিলম্বে চাকসু নির্বাচন দিতে হবে।
৫. দ্রুত সময়ের মধ্যে টিএসসি স্থাপন, সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম নির্মাণ, কেন্দ্রীয় মসজিদ পুনর্নির্মাণ এবং অন্যান্য স্থাপনাসমূহ সংস্কার করতে হবে।
৬. জুলাই বিপ্লব ও ফ্যাসিবাদী শাসনামলে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত শিক্ষার্থীদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং জড়িত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করতে হবে।
৭. বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে অবৈধ নিয়োগের সাথে জড়িত সকলের বিচার এবং নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত করতে হবে।
সাত দফা দাবি আদায়ে ৫টি কর্মসূচি ঘোষণা
১ থেকে জুলাই ১০ জুলাই পর্যন্ত সংস্কার ক্যাম্পেইন।
১ জুলাই প্রতীকী সিট বণ্টন।
৩ জুলাই সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে মতবিনিময়।
৭ জুলাই গণ-স্বাক্ষর কর্মসূচি।
১০ জুলাই ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন।